Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

গ্রাম আদালত বিধিমালা

গ্রাম আদালত বিধিমালা


গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য মামলা

১. ফৌজদারি কার্যবিধি এবং দেওয়ানি কাযবিধিতে যাকিছই থাকুক না কেন গ্রাম আদালত আইনর তফসিলের প্রথম অঙ্কে বর্নিত বিষয়াবলী সম্পর্কিত ফৌজদারি মামলা এবং দ্বিতীয় অঙ্কে বর্নিত বিষয়াবলী সম্পর্কিত দেওয়ানী মামলা, ভিন্ন রকম বিধান না থাকলে গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য হবে এবং কোন ফৌজদারি বা দেওয়ানী আদালতের অনুরুপ কোন মামলা মোকদ্দমার বিচারের এখতিয়ার গ্রাম আদালতে থাকবে না।

২. গ্রাম আদালত কতৃক তফসিলের প্রথম অঙ্কে বর্নিত কোন অপরাধের সাথে কোন মামলা বিচারয হবে না যদি উক্ত মামলায় আমলযোগ্য কোন অপরাধের দায় কোন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্থ হয়ে ইতোপূর্বে গ্রাম আদালত কতৃক দন্ড প্রাপ্ত হয়ে থাকেন , যদি -

     ক) উক্ত মামলায় কোন নাবালকের স্বাথ জড়িত থাকে;

     খ) বিবাদের পক্ষগনের মধ্যে সম্পাদিত কোন চুক্তিতে ব বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান থাকে;

     গ) সরকার বা স্থানীয় কতৃপক্ষ বা কতব্য পালনরত কোন সরকারী কমচারী উক্ত বিবাদের কোন পক্ষ হয়।

৩. যে স্থাবর  সম্পত্তির দখল অর্পনের জন্য গ্রাম আদালত কতৃক আদেশ প্রদান করা হয়েছে, ঐ স্থাবর সম্পত্তিতে স্বত্ত প্রতিষ্ঠার জন্য বা এর দখল পুনরুদ্ধারের জন্য কোন মোকাদ্দমা বা কাযধারার ক্ষেত্রে (১) এর বিধানবলী প্রযোজ্য হবে না।

গ্রাম আদালত গঠনের আবেদন

১. যে ক্ষেত্রে এ আইনের অধীন কোন মামলা গ্রাম আদালত কতৃক বিচারযোগ্য হয় সে ক্ষেত্রে বিরোধের যে কোন পক্ষ উক্ত মামলার বিচারের নিমিত্ত গ্রাম আদালত গঠনের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহনের লক্ষ্যে ইউনিয়েন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট নিধারিত পদ্ধতিতে আবেদন করতে পারবেন এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লিখিত কারন দর্শিয়ে উক্ত আবেদনটি নাকচ না করলে নিধারিত পদ্ধতিতে গ্রাম আদালত গঠনের উদ্যোগ গ্রহন করবেন।

২. উক্ত আইনের অধিন আবেদন নামঞ্জুরের আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্দ ব্যক্তি আদেশের বিরুদ্ধে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এখতিয়ার সম্পন্ন সহকারী জজ আদালতে রিভিশন করতে পারবেন।

আবেদনের ফিস

তফসিলের প্রথমভাগের সাথে সম্পর্কিত হলে দুই টাকা এবং দ্বিতীয়ভাগের সাথে সর্ম্কিত হলে আবেদনপত্রের সাথে চার টাকা  ফিস জমা দিতে হবে।

নাকচ আবেদন নামঞ্জুরের আদেশসহ আবেদনকারীকে ফেরত প্রদান

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক যে ক্ষেত্রে আবেদন নাকচ হয় সে ক্ষেত্রে তা উক্ত নামঞ্জুরের আদেশসমেত আবেদনকারীর নিকট ফেরত দিতে হবে।

আবেদন নামঞ্জুরের বিরুদ্ধে রিভিশন /আপিল

আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে পুনঃবিচারের জন্য তা যথাযথ এখতিয়ার সম্পন্ন সহকারী জজের নিকট দাখিল করতে হবে।

আবেদনে কি কি তথ্য থাকতে হবে

আবেদনে নিম্নলিখিত তথ্য ও বিবরন থাকতে হবে;

১. যে ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করা হয়েছে তার নাম ও ঠিকানা;

২. আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা ও পরিচয়;

৩. প্রতিবাদীর নাম, ঠিকানা ও পরিচয়;

৪. যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে অথবা মামলার কারন সৃষ্টি হয়েছে তার নাম;

৫. ঘটনা সৃষ্টির কারনে, ঘটনার স্থান, ইউনিয়নের নাম, ঘটনার তারিখ ও সময়;

৬. অভিযোগ বা দাবির সংক্ষিপ্ত বিবরন, প্রকৃতি ও ক্ষতির পরিমান;

৭. প্রার্তিত প্রতিকার ।

আবেদন পত্র পাবার পর চেয়ারম্যান কি করবেন

আবেদন পত্রটি পাবার পর ইউপি চেয়ারম্যান তা পরিক্ষা গ্রহন করবেন। আবেদন পত্র গ্রহন করা হলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্দিষ্ট তারিখে প্রতিবাদীকে হাজির হতে সমন দেবেন এবং বাদীকে হাজির হতে নির্দেশ দেবেন।মামলার পরবর্তী কাযক্রম চালিয়ে যাবেন।

আবেদনটি অসম্পূন হলে অর্থাৎ প্রয়োজনীয় তথ্য না থাকলে অথবা এখতিয়ার বহির্ভূত হলে তিনি তা নাকচ করতে পারবেন। তবে কী কারনে আবেদনটি নাকচ করা হলো অবশ্যই আবেদন পত্রের উপর লিখতে হবে।

প্রতিবাদী দাবি বা বিবাদ স্বীকার  করলে গ্রাম আদালত  গঠন করা হবে না

সমন অনুযায়ী অথবা প্রকারান্তরে প্রতিবাদী হাজির হলে এবং দাবি বা বিবাদী স্বীকার করলে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে উক্ত দাবি পূরন করলে গ্রাম আদালত গঠন করা হবে না।

কী কী কারনে আবেদন নাকচ করা যাবে

১. আবেদনের ফিস জমা না দিলে;

২. এখতিয়ার বহির্ভূত হলে

৩. অপ্রকৃস্থিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আবেদন হলে

৪. আবেদন অসম্পূন হলে অর্থাৎ আবেদনকারীর, প্রতিবাদী, স্বাক্ষীর নাম, ঠিকানা ও পরিচয় না থাকলে

৫. ঘটনা, ঘটনা সৃস্টির কারন, ঘটনা স্থান সময় তারিখ,ক্ষতির পরিমান,প্রার্থিত প্রতিকার ‍উল্লেখ না থাকলে;

      ৬. ব্যক্তি আদালত গ্রাহ্য কারনে পূর্ব দোশি সাব্যস্ত হলে;

      ৭. নাবালকের সার্থের পরিপন্থি হলে;

     ৮. বিরোধটি নিয়ে সালিশির চুক্তি হলে;

     ৯. সরকার বা স্থানীয় কতৃপক্ষ বা কত্যব্য পালনরত কোন সরকারী কর্মবাচারী যদি দেওয়ানী মামলার কোন পক্ষ হয়।

গ্রাম অাদালতের এখতিয়ার

১. যে ইউনিয়নে অপরাধ সংগঠিত হবে বা মামলার কারন উদ্ভব হবে, বিবাদের পক্ষগণ সাধারনত সেই ইউনিয়নের বাসিন্দা হলে, সে ইউনিয়নে গ্রাম আদালত গঠিত হবে এবং অনুরুপ মামলার বিচারের এখতিয়ার গ্রাম আদালতের থাকবে।

২. যে ইউনিয়নে অপরাধ সংগঠিত হবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হবে, বিবাদের একপক্ষ সেই ইউনিয়নের বাসিন্দা হলে এবং অপর পক্ষ ভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা হলে, যে ইউনিয়নের মধ্যে অপরাধ সংগঠিত হবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হবে, সেই ইউনিয়নের গ্রাম অাদালত গঠিত হবে; তবে পক্ষগণ ইচ্ছা করলে ‍নিজ ইউনিয়ন হতে প্রতিনিধি মনোনিত করতে পারবে।

গ্রাম আদলতের ক্ষমতা

১. এ আইনে ভিন্ন রুপ কোন বিধান না থাকলে, গ্রাম আদলত আইন ২০০৬ এর তফসিলের প্রথম অংশের বর্ণিত ফৌজদারী অপরাধসমূহের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে কেবল মাত্র অনধিক পচিশ হাজার টাকা ক্ষতি পূরণের আদেশ প্রদান করতে পারবে। তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত দেওয়ানী বিষয়াবলীর সাথে সম্পর্কিত কোন মামলায় অনুরূপ বিষয়ে তফসিলে উল্লেক্ষিত পরিমান অর্থ প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করতে বা সম্পত্তির প্রকৃত মালিক কে সম্পত্তি বা এর দখল প্রত্যর্পনের জন্য আদেশ প্রদান কারতে পারবে।

গ্রাম আদলতে মামলার আবেদন পত্রের নমুনা

                                                                                                                                                                       

মামলার নাম :

দায়েবের তারিখ :

মামলার ধরন :

চেয়ারম্যান

..........ইউনিয়ন পরিষদ

উপজেলাঃ ................................... জেলা.............................

বিষয়ঃ গ্রাম আদলত গঠনের আবেদন এবং অভিযোগ/দাবির বিবরণ।

 

আবেদন কারীর নাম ও ঠিকান

প্রতিবাদীর নাম ও ঠিকানা        স্বাক্ষীগণের নাম ও ঠিকানা

ঘটনার স্থান :

তারিখ :

সময় :

তফসিল :

(এখানে আবেদন কারীর বক্তব্যের বিস্তরিত বিবরণ এবং তিনি কি প্রতিকার প্রার্থনা করেন তার বিবরণ থাকবে)

 

 

 

 

 

 

                                                   আবেদন কারীর স্বাক্ষর

                                                  জাতীয় পরিচয় নং........


ছবি